সবে তো খেলা শুরু , আমরা ভালো খেলতে পারি : হুগলীতে বললেন রাজীব ব‍্যানার্জী

3rd February 2021 7:27 pm হুগলী
সবে তো খেলা শুরু , আমরা ভালো খেলতে পারি : হুগলীতে বললেন রাজীব ব‍্যানার্জী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  সবে খেলা শুরু হয়েছে খেলা এখনো বাকি আছে।আমরা ভালো খেলতে পারি।শাসক দল ভয় পেয়ে গেছে।গলা কাপছে।এত ব্যাক্তিগত কুরুচিকর আক্রমন করার দরকার নেই।দিনের পর দিন অন্য জনপ্রতিনিধিদের নিজের দলে যোগদান করিয়েছেন।তারা তখন গদ্দার হয়নি।তারা তখন মির্জফর হয়নি।তখন বলেছে উন্নয়নের জন্য এসেছে।বীরভূমের এক নেতা বলেছিলেন সব তার লোককে দিতে হবে। আমরা দেখছি যে কাজ হয়নি তা যদি বিজেপিতে গিয়ে করা যায় তাহলে মির্জাফর হয়ে যায়।আলপুরদুয়ারে বলেছেন বোনো সহায়ক নিয়োগে দূনীতি হয়েছে তদন্ত হবে।মাননীয়াকে জানিয়ে দিতে চাই কোন নেতা মন্ত্রীরা কালিঘাট থেকে কোন সুপারিশ এসেছে।আপনি কেচো খুরতে কেউটে আপনি বের করছে।আলিপুর দুয়ারের সভাপতির কাছ থেকে জেনে নিন সেও সুপারিশ করেছিল।সব তথ্য আমার কাছে আছে।আমি কোনোদিন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছেন।৮ অক্টবর ৯.৫৮ মেসেজের কপি রয়েছে।আপনি বনো সহায়কের প্যানেল বাতিল করে দিন তাহলে দুধ কা দুধ পানি পানি কা পানি হয়ে যায়ে।বিগত দিনে যে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে এমনকি আমার পুরোনো দপ্তরের নিয়োগ নিয়ে কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে।যত চুক্তি ভিত্তিক চাকরি হয়েছে সব কটার তদন্ত হোক।আমি যদি মুখ খুলি তাহলে সমুদ্র নরে যেতে পারে।শুধু বট গাছের পাতা পরবে না।সমুদ্রের দু ঘটি জল যাবে না।রাজনীতি হল রাজার নীতি।মানুষের জন্য কাজ করব বলে সব সময় চেষ্টা করেছিলি।আমি সব ফোনে রেকর্ড করে রেখেছি।কাকে দিয়ে ফোন করিয়েছেন দলে রাখার জন্য।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিই নভেম্বরে বনো সহায়ক পদে নিয়োগ হয়েছে।তাহলে যদি দূর্নিতি করে থাকি তাহলে আমাকে কেন তারিয়ে দেননি।আমি ছেড়ে দিয়েছি।আমি ভাবছিলাম এত কিছু বলব না।কিন্তু আপনি পেন্ডুলাম খুলেছেন শুনতে তো হবেই।এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেরিয়ে পরেছে।এটা ভাওতা কার্ড।আলু সিন্ডিকেটের সঙ্গে কারা যুক্ত আছে।চারিদিকে কিষান মান্ডি তৈরী হয়েছে।কটা কাজ করছে জনগনের টাকা এই ভাবে নয়ছয় করছে।একটা শিল্প হয়নি।বড় বড় শিল্প সম্মেলন করেছেন।বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে বেকারদের চাকরি দেবে।আমি শুভেন্দু প্রবীর দারা বিজেপিতে এসেছি ওখানে কাজ করতে পারছিলাম না।চলে যান হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে।কোনো চিকিংসা পাবেন না। কাঁধে মিলিয়ে লড়তে হবে তৃনমূলকে বিদায় দিতে হবে।চলুন পাল্টাই।ওরা আপনাকে ভয় দেখাবে ধমকানো চমকানো শুরু করেছে চুপচাপ পদ্মছাপ। অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ,  মাঠ আমার চেনা, প্রতিকটা নতুন। ১১ সালে এসেছিলাম ভোট হয়েছিল তারপর থেকে ভোট হয় না লুট হয়। যারা বিড়ি নিভিয়ে খেত তারা পিছনে তুলো গোঁজা সিগারেট খায়। চুপচাপ ফুলে ছাপ দিলে হবে না পদ্মফুলে ছাপ দিতে হবে। তোলাবাজরা শুধু কালিঘাটে আছে তা নয় ধনিয়াখালিতেও আছে। কৃষকরা আলুর দাম পাননি।নরেন্দ্র মোদি পিএম কিষান দিয়েছে এরাজ্যে চালু হয়নি। ধানের বাটা কেটে নিচ্ছে। প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানীকে হারাতে হবে। এই লড়াইতে জিততে হবে। হুগলীতে ১৮ -০ করতে হবে। দল প্রার্থী ঘোষনা করলে আবার আসব।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।